ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত

MST MINA
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

1 kg apple price in bangladesh

বাংলাদেশে ২০২৫ সালে আপেলের দাম নিয়ে অনেকেই জানতে চান — 1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত?২০২৫ সালে ১ কেজি আপেলের গড় দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে, তবে অঞ্চল, মান ও প্রজাতি অনুযায়ী দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

আপেল কেন এত জনপ্রিয় ফল বাংলাদেশে

বাংলাদেশের প্রতিটি ফলের দোকানেই আপেল একটি সাধারণ দৃশ্য। ছোট থেকে বড়—সব বয়সের মানুষই আপেল খেতে ভালোবাসে। কারণ, এটি শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার কলেজপড়ুয়া তরুণ রিয়াদ প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খায়। তার ভাষায়, “একটা আপেল খেলে সারাদিনে আর কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হয় না, শরীরও হালকা লাগে।”

1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত (২০২৫ সালের আপডেট)

২০২৫ সালে বাংলাদেশে আপেলের গড় বাজারদর নিম্নরূপ —

আপেলের ধরন গড় দাম (৳ প্রতি কেজি) উৎস দেশ
চায়না ফুজি আপেল ৳ ৩৫০ – ৳ ৪০০ চীন
ইরানি / কাশ্মীরি আপেল ৳ ২২০ – ৳ ৩০০ ভারত / ইরান
স্থানীয় আপেল (বিরল) ৳ ১৮০ – ৳ ২৫০ বাংলাদেশ
আমদানি করা প্রিমিয়াম আপেল ৳ ৪০০ – ৳ ৪৫০ নিউজিল্যান্ড / যুক্তরাষ্ট্র

 

দ্রষ্টব্য: দাম নির্ভর করে বাজার, মৌসুম এবং সরবরাহ পরিস্থিতির উপর। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সুপারশপে দাম সাধারণত কিছুটা বেশি থাকে।

বাংলাদেশে আপেলের বাজার পরিস্থিতি ২০২৫

বাংলাদেশে ফলের বাজারে আপেলের দাম পরিবর্তনশীল। শীতকাল ও উৎসবের সময় (যেমন ঈদ বা পূজা) দাম কিছুটা বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালে আম, লিচু, জাম ইত্যাদি মৌসুমি ফলে সরবরাহ বাড়লে আপেলের চাহিদা কমে, ফলে দামও কিছুটা কমে আসে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকার খুচরা বাজারে ফুজি আপেল বিক্রি হয়েছে প্রায় ৳৩৯০ প্রতি কেজি,
কিন্তু মার্চ মাসে একই আপেল পাওয়া গেছে ৳৩২০–৳৩৪০ টাকায়।

আপেলের দাম নির্ধারণে যেসব কারণ প্রভাব ফেলে

আমদানি খরচ ও ট্যাক্স:
চীন বা ভারত থেকে আপেল আমদানি করতে শুল্ক ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেলে সরাসরি খুচরা দামে প্রভাব পড়ে।

আবহাওয়া ও ফসল উৎপাদন:
যদি উৎপাদনকারী দেশে শীত বা বন্যা সমস্যা হয়, তাহলে সরবরাহ কমে যায় — ফলে দাম বাড়ে।

মুদ্রা বিনিময় হার:
ডলার বা ইউয়ানের দাম বাড়লে আপেল আমদানিও ব্যয়বহুল হয়।

স্থানীয় বাজারের প্রতিযোগিতা:
যেসব দোকান পাইকারি হারে কিনে বিক্রি করে, সেখানে দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

স্বাস্থ্য উপকারিতা: কেন প্রতিদিন আপেল খাওয়া দরকার

একটা আপেল প্রতিদিন—ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে রাখে।

  • আপেলে থাকে ভিটামিন C, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • এটি হজমে সহায়তা করে ও শরীরের টক্সিন দূর করে।
  • নিয়মিত আপেল খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ব্যক্তিগত টিপস: আমি নিজে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পর একটি ফুজি আপেল খাই। দেখেছি—হজম শক্তি ও ত্বকের উজ্জ্বলতা দুই-ই বেড়েছে।

কোথায় ভালো মানের আপেল কিনবেন

অনলাইন স্টোর:

  • Chaldal.com – ফুজি ও চায়না আপেল ৩৭০–৩৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
  • Daraz Bangladesh – ইরানি ও নিউজিল্যান্ড আপেল অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যায়।

স্থানীয় বাজারে:
ভালো আপেল চেনার কিছু কৌশল —

  • আপেলের খোসা যদি চকচকে কিন্তু প্রাকৃতিক দেখায়, তবে তা রাসায়নিকমুক্ত।
  • অতিরিক্ত উজ্জ্বল বা তীব্র রঙের আপেল এড়িয়ে চলুন।

ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস: ২০২৬ সালে আপেলের দাম কেমন হতে পারে?

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালে আপেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবহন ব্যয় ও কৃষি উৎপাদন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলও থাকতে পারে।

আমার সর্বশেষ কথা

২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে ১ কেজি আপেলের দাম গড়ে ৳৩৫০–৳৪০০ টাকার মধ্যে। তবে দাম পরিবর্তিত হয় মৌসুম, সরবরাহ ও বাজারের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। স্মার্ট ক্রেতা হিসেবে, মৌসুমের শেষভাগে বা অনলাইন অফারে কিনলে আপনি সহজেই সাশ্রয়ী দামে ভালো আপেল পেতে পারেন।

1 kg আপেলের দাম সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে আপেল এত দামি কেন?
কারণ আপেলের বেশিরভাগই আমদানি করা হয়, ফলে পরিবহন ও ট্যাক্সের খরচ যুক্ত হয়।

প্রশ্ন ২: অনলাইন থেকে আপেল কিনলে দাম বেশি পড়ে?
কিছুটা বেশি হলেও মান সাধারণত ভালো থাকে এবং সময় বাঁচে।

প্রশ্ন ৩: কোন মৌসুমে আপেলের দাম কম থাকে?
শীতকাল শেষে মার্চ থেকে জুন—এই সময় আপেলের দাম তুলনামূলক কম থাকে।

প্রশ্ন ৪: কোন দেশের আপেল সবচেয়ে ভালো মানের?
নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের আপেল বিশ্বমানের হিসেবে বিবেচিত।

সৌদি আরবে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশ। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এইখানে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত

আপডেট সময় : ১২:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে ২০২৫ সালে আপেলের দাম নিয়ে অনেকেই জানতে চান — 1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত?২০২৫ সালে ১ কেজি আপেলের গড় দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে, তবে অঞ্চল, মান ও প্রজাতি অনুযায়ী দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

আপেল কেন এত জনপ্রিয় ফল বাংলাদেশে

বাংলাদেশের প্রতিটি ফলের দোকানেই আপেল একটি সাধারণ দৃশ্য। ছোট থেকে বড়—সব বয়সের মানুষই আপেল খেতে ভালোবাসে। কারণ, এটি শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার কলেজপড়ুয়া তরুণ রিয়াদ প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খায়। তার ভাষায়, “একটা আপেল খেলে সারাদিনে আর কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হয় না, শরীরও হালকা লাগে।”

1 kg আপেলের দাম বাংলাদেশে কত (২০২৫ সালের আপডেট)

২০২৫ সালে বাংলাদেশে আপেলের গড় বাজারদর নিম্নরূপ —

আপেলের ধরন গড় দাম (৳ প্রতি কেজি) উৎস দেশ
চায়না ফুজি আপেল ৳ ৩৫০ – ৳ ৪০০ চীন
ইরানি / কাশ্মীরি আপেল ৳ ২২০ – ৳ ৩০০ ভারত / ইরান
স্থানীয় আপেল (বিরল) ৳ ১৮০ – ৳ ২৫০ বাংলাদেশ
আমদানি করা প্রিমিয়াম আপেল ৳ ৪০০ – ৳ ৪৫০ নিউজিল্যান্ড / যুক্তরাষ্ট্র

 

দ্রষ্টব্য: দাম নির্ভর করে বাজার, মৌসুম এবং সরবরাহ পরিস্থিতির উপর। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সুপারশপে দাম সাধারণত কিছুটা বেশি থাকে।

বাংলাদেশে আপেলের বাজার পরিস্থিতি ২০২৫

বাংলাদেশে ফলের বাজারে আপেলের দাম পরিবর্তনশীল। শীতকাল ও উৎসবের সময় (যেমন ঈদ বা পূজা) দাম কিছুটা বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালে আম, লিচু, জাম ইত্যাদি মৌসুমি ফলে সরবরাহ বাড়লে আপেলের চাহিদা কমে, ফলে দামও কিছুটা কমে আসে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকার খুচরা বাজারে ফুজি আপেল বিক্রি হয়েছে প্রায় ৳৩৯০ প্রতি কেজি,
কিন্তু মার্চ মাসে একই আপেল পাওয়া গেছে ৳৩২০–৳৩৪০ টাকায়।

আপেলের দাম নির্ধারণে যেসব কারণ প্রভাব ফেলে

আমদানি খরচ ও ট্যাক্স:
চীন বা ভারত থেকে আপেল আমদানি করতে শুল্ক ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেলে সরাসরি খুচরা দামে প্রভাব পড়ে।

আবহাওয়া ও ফসল উৎপাদন:
যদি উৎপাদনকারী দেশে শীত বা বন্যা সমস্যা হয়, তাহলে সরবরাহ কমে যায় — ফলে দাম বাড়ে।

মুদ্রা বিনিময় হার:
ডলার বা ইউয়ানের দাম বাড়লে আপেল আমদানিও ব্যয়বহুল হয়।

স্থানীয় বাজারের প্রতিযোগিতা:
যেসব দোকান পাইকারি হারে কিনে বিক্রি করে, সেখানে দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

স্বাস্থ্য উপকারিতা: কেন প্রতিদিন আপেল খাওয়া দরকার

একটা আপেল প্রতিদিন—ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে রাখে।

  • আপেলে থাকে ভিটামিন C, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • এটি হজমে সহায়তা করে ও শরীরের টক্সিন দূর করে।
  • নিয়মিত আপেল খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ব্যক্তিগত টিপস: আমি নিজে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পর একটি ফুজি আপেল খাই। দেখেছি—হজম শক্তি ও ত্বকের উজ্জ্বলতা দুই-ই বেড়েছে।

কোথায় ভালো মানের আপেল কিনবেন

অনলাইন স্টোর:

  • Chaldal.com – ফুজি ও চায়না আপেল ৩৭০–৩৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
  • Daraz Bangladesh – ইরানি ও নিউজিল্যান্ড আপেল অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যায়।

স্থানীয় বাজারে:
ভালো আপেল চেনার কিছু কৌশল —

  • আপেলের খোসা যদি চকচকে কিন্তু প্রাকৃতিক দেখায়, তবে তা রাসায়নিকমুক্ত।
  • অতিরিক্ত উজ্জ্বল বা তীব্র রঙের আপেল এড়িয়ে চলুন।

ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস: ২০২৬ সালে আপেলের দাম কেমন হতে পারে?

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালে আপেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবহন ব্যয় ও কৃষি উৎপাদন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলও থাকতে পারে।

আমার সর্বশেষ কথা

২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে ১ কেজি আপেলের দাম গড়ে ৳৩৫০–৳৪০০ টাকার মধ্যে। তবে দাম পরিবর্তিত হয় মৌসুম, সরবরাহ ও বাজারের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। স্মার্ট ক্রেতা হিসেবে, মৌসুমের শেষভাগে বা অনলাইন অফারে কিনলে আপনি সহজেই সাশ্রয়ী দামে ভালো আপেল পেতে পারেন।

1 kg আপেলের দাম সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে আপেল এত দামি কেন?
কারণ আপেলের বেশিরভাগই আমদানি করা হয়, ফলে পরিবহন ও ট্যাক্সের খরচ যুক্ত হয়।

প্রশ্ন ২: অনলাইন থেকে আপেল কিনলে দাম বেশি পড়ে?
কিছুটা বেশি হলেও মান সাধারণত ভালো থাকে এবং সময় বাঁচে।

প্রশ্ন ৩: কোন মৌসুমে আপেলের দাম কম থাকে?
শীতকাল শেষে মার্চ থেকে জুন—এই সময় আপেলের দাম তুলনামূলক কম থাকে।

প্রশ্ন ৪: কোন দেশের আপেল সবচেয়ে ভালো মানের?
নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের আপেল বিশ্বমানের হিসেবে বিবেচিত।

সৌদি আরবে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশ। আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এইখানে যান।