Dakhil Registration Renewal Notice 2026 for Failed Students
দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬: এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষার সুযোগ ও ফি জমার নিয়ম
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সুপারদের রেজিস্ট্রেশন নবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবায়ন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী ২০২৬ সালের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারবে না।
কারা রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করতে পারবে?
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। শুধুমাত্র ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যারা ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অতিরিক্ত বিষয় ছাড়া মাত্র এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এবং যাদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ২০২৫ সালেই শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই এই নবায়ন সুবিধা পাবে।
অর্থাৎ, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ফি জমা দিয়ে নবায়ন করলে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। নবায়ন না করলে তাদের নাম পরীক্ষার সম্ভাব্য তালিকায় (Probable List) আসবে না এবং ফরম পূরণ করা সম্ভব হবে না।
আবেদনের সময়সীমা ও ফি
শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি জমা দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- বিলম্ব ফি ছাড়া: আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ২০০ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট করে আবেদন করতে হবে।
- বিলম্ব ফিসহ: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যর্থ হলে, বিলম্ব ফিসহ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে মূল ফি ২০০ টাকা এবং বিলম্ব ফি ১০০ টাকাসহ মোট ৩০০ টাকার ডিমান্ড ড্রাফট করতে হবে।
➤ আরও পড়ুন: এইচএসসি বৃত্তি ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ: ঢাকা বোর্ডের তালিকা ও টাকা তোলার নিয়ম
নবায়ন করার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নবায়ন প্রক্রিয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলি উল্লেখ করেছে। মাদ্রাসা প্রধানদের এই ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
১. আবেদনপত্র: সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নিজস্ব প্যাডে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আবেদন করতে হবে। ২. শিক্ষার্থীর তালিকা: ওয়েবে প্রদর্শিত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে। ৩. রেজিস্ট্রেশন কার্ড: শিক্ষার্থীর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং এর ফটোকপি আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে। ৪. ডিমান্ড ড্রাফট: সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ‘রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড’-এর অনুকূলে নির্ধারিত ফি-এর (২০০ বা ৩০০ টাকা) পে-অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফট করতে হবে।
এই সব কাগজপত্র একত্র করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে (বিলম্ব ফিসহ ৩১ ডিসেম্বর) বোর্ডে জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড নবায়ন করে নিতে হবে। বোর্ড সতর্ক করে দিয়েছে যে, রেজিস্ট্রেশন কার্ড নবায়ন ছাড়া ২০২৬ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ থাকবে না।
উপসংহার
শিক্ষাজীবনে এক বছর যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দ্রুত মাদ্রাসার সাথে যোগাযোগ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬-এর কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. আমি কি দুই বিষয়ে ফেল করলে নবায়ন করতে পারব? না, বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অতিরিক্ত বিষয় ছাড়া ‘এক বিষয়ে’ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাই এই সুযোগ পাবে।
২. নবায়ন ফি কোথায় জমা দিতে হবে? ফি সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ডিমান্ড ড্রাফট (DD) বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। নগদ টাকা বোর্ডে গ্রহণ করা হবে না।
৩. রেজিস্ট্রেশন কার্ড হারিয়ে গেলে কী করব? মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। হারিয়ে গেলে দ্রুত থানায় জিডি করে ডুপ্লিকেট কার্ড উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারপর নবায়নের আবেদন করতে হবে।
৪. আমি কি নিজে বোর্ডে গিয়ে আবেদন করতে পারব? না, আবেদনটি অবশ্যই আপনার মাদ্রাসা প্রধানের মাধ্যমে এবং মাদ্রাসার প্যাডে করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
৫. নবায়ন না করলে কী হবে? রেজিস্ট্রেশন নবায়ন না করলে আপনার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে এবং আপনি ২০২৬ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।















