ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সিলেবাস ২০২৫ Pdf | Class 8 Bitti Exam 2025 Syllabus Trust Bank Ltd-এ “Officer (MIS)” পদে নিয়োগ, Retail Finance Centre এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৬: কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা, আসন সংখ্যায় বড় পরিবর্তন মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি: শেষ মুহূর্তের রিভিশন ও মানসিক শক্তি ধরে রাখার কৌশল সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-২৬: জিপিএ ৩.০০ পেলেই আবেদনের সুযোগ বিপিএল ২০২৫ সময়সূচি প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু, ফাইনাল ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় কৃষকের ভাষায় মাটি কাকে বলে? মাটির প্রকারভেদ ও চেনার সহজ উপায় পুঁজিবাদ কাকে বলে? পুঁজিবাদের সংজ্ঞা, প্রধান ৭টি বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা-অসুবিধা এমপিও নীতিমালা ২০২৫: শিক্ষকদের অন্য চাকরি নিষিদ্ধ, ১০ বছরে পদোন্নতির সুখবর দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬: এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষার সুযোগ ও ফি জমার নিয়ম এইচএসসি বৃত্তি ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ: ঢাকা বোর্ডের তালিকা ও টাকা তোলার নিয়ম

New MPO Policy 2025: Restrictions on Dual Jobs and Promotion Rules

এমপিও নীতিমালা ২০২৫: শিক্ষকদের অন্য চাকরি নিষিদ্ধ, ১০ বছরে পদোন্নতির সুখবর

অনাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

এমপিও নীতিমালা ২০২৫ অবশেষে প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গতকাল রবিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এই নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিওভুক্তির নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। একদিকে যেমন শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে, অন্যদিকে একাধিক চাকরিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এতদিন বেসরকারি শিক্ষকদের অনেকেই শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, আইন পেশা বা বিভিন্ন এনজিওতে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। আইনি বাধা না থাকায় এটি একটি সাধারণ প্র্যাকটিস ছিল। কিন্তু নতুন নীতিমালায় এই সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী আর্থিক লাভজনক অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

শিক্ষকদের অন্য চাকরি ও লাভজনক পেশা নিষিদ্ধ

নতুন নীতিমালার ১১.১৭-এর ‘ক’ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে, চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

নীতিমালার ‘খ’ বিধিতে ‘আর্থিক লাভজনক’ পদের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। সরকার বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় কাজের বিনিময়ে বেতন, ভাতা বা সম্মানী গ্রহণ করলেই তা লাভজনক পেশা হিসেবে গণ্য হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তদন্তে যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরির প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার এমপিও বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে যারা শিক্ষকতার পাশাপাশি ওকালতি বা সাংবাদিকতা করতেন, তাদের এখন যেকোনো একটি পেশা বেছে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬: এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষার সুযোগ ও ফি জমার নিয়ম

১০ বছরে পদোন্নতি: ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হওয়ার সুযোগ

কঠোর বিধিনিষেধের পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবরও রয়েছে এই নীতিমালায়। দীর্ঘদিনের উচ্চতর গ্রেড এবং পদোন্নতির জট এবার খুলছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা যোগদানের পর ১০ বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি পূর্ণ করলে পদোন্নতি পেয়ে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবেন।

আগে সহকারী শিক্ষকরা সারাজীবন একই পদে চাকরি করে অবসরে যেতেন, কিন্তু এখন তারা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পাবেন। সিনিয়র শিক্ষক হলে তারা ৯ম গ্রেডে (বেতন স্কেল ২২,০০০ – ৫৩,০৬০ টাকা) বেতন-ভাতা পাবেন। তবে এর জন্য নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক।

তবে এখানে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে যারা আছেন, তারা ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা ঠিকই পাবেন, কিন্তু তারা ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বা এই পদে পদোন্নতি পাবেন না।

প্রতিষ্ঠানের এমপিও টিকিয়ে রাখার শর্ত

শুধুমাত্র শিক্ষকদের ব্যক্তিগত যোগ্যতাই নয়, প্রতিষ্ঠানের এমপিও টিকিয়ে রাখতেও নতুন শর্ত দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির শর্তাবলি অংশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজগুলোকে পাবলিক পরীক্ষায় (এসএসসি/এইচএসসি) অবশ্যই কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শুধু পরীক্ষার্থী থাকলেই হবে না, পরিশিষ্ট ‘গ’ মোতাবেক ন্যূনতম পাসের হারও অর্জন করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি পরপর কয়েক বছর এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল হতে পারে।

এমপিও নীতিমালা ২০২৫ দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। দ্বৈত চাকরি নিষিদ্ধ করার ফলে শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আরও মনোযোগী হবেন। অন্যদিকে ১০ বছরে পদোন্নতির সুযোগ শিক্ষকদের পেশাগত কাজে উৎসাহ জোগাবে। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. আমি ওকালতি করি, এখন কি আমার এমপিও বাতিল হবে? নীতিমালা অনুযায়ী, আপনি যদি এমপিওভুক্ত শিক্ষক হন এবং একই সাথে আইন পেশা থেকে আয় করেন, তবে এটি অবৈধ। আপনাকে যেকোনো একটি পেশা ছাড়তে হবে, অন্যথায় তদন্তে প্রমাণিত হলে এমপিও বাতিল হতে পারে।

২. সিনিয়র শিক্ষক হতে কি বিএড (B.Ed) লাগবে? নীতিমালায় বলা হয়েছে নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সাধারণত মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ম গ্রেড পেতে বিএড থাকা বাঞ্ছনীয়। বিস্তারিত শর্ত পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকে।

৩. লাইব্রেরিয়ানরা কি সিনিয়র শিক্ষক হতে পারবেন? না। সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের (৯ম গ্রেড) বেতন পাবেন, কিন্তু তাদের পদের নাম ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবে না।

৪. নতুন নীতিমালা কবে থেকে কার্যকর হবে? এই নীতিমালা জারির তারিখ থেকে, অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকেই এটি কার্যকর বলে গণ্য হবে।

৫. এমপিওভুক্ত হতে হলে প্রতিষ্ঠানে কতজন পাস করতে হবে? এটি প্রতিষ্ঠানের ধরণ (স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা) এবং অবস্থান (শহর/গ্রাম) এর ওপর নির্ভর করে। নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘গ’-তে বিস্তারিত হার উল্লেখ করা আছে।

আরও পড়ুন: এইচএসসি বৃত্তি ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ: ঢাকা বোর্ডের তালিকা ও টাকা তোলার নিয়ম

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

New MPO Policy 2025: Restrictions on Dual Jobs and Promotion Rules

এমপিও নীতিমালা ২০২৫: শিক্ষকদের অন্য চাকরি নিষিদ্ধ, ১০ বছরে পদোন্নতির সুখবর

আপডেট সময় : ০৪:২৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

এমপিও নীতিমালা ২০২৫ অবশেষে প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গতকাল রবিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এই নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিওভুক্তির নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। একদিকে যেমন শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে, অন্যদিকে একাধিক চাকরিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এতদিন বেসরকারি শিক্ষকদের অনেকেই শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, আইন পেশা বা বিভিন্ন এনজিওতে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। আইনি বাধা না থাকায় এটি একটি সাধারণ প্র্যাকটিস ছিল। কিন্তু নতুন নীতিমালায় এই সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী আর্থিক লাভজনক অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

শিক্ষকদের অন্য চাকরি ও লাভজনক পেশা নিষিদ্ধ

নতুন নীতিমালার ১১.১৭-এর ‘ক’ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে, চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

নীতিমালার ‘খ’ বিধিতে ‘আর্থিক লাভজনক’ পদের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। সরকার বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় কাজের বিনিময়ে বেতন, ভাতা বা সম্মানী গ্রহণ করলেই তা লাভজনক পেশা হিসেবে গণ্য হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তদন্তে যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরির প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার এমপিও বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে যারা শিক্ষকতার পাশাপাশি ওকালতি বা সাংবাদিকতা করতেন, তাদের এখন যেকোনো একটি পেশা বেছে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: দাখিল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ২০২৬: এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরীক্ষার সুযোগ ও ফি জমার নিয়ম

১০ বছরে পদোন্নতি: ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হওয়ার সুযোগ

কঠোর বিধিনিষেধের পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবরও রয়েছে এই নীতিমালায়। দীর্ঘদিনের উচ্চতর গ্রেড এবং পদোন্নতির জট এবার খুলছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা যোগদানের পর ১০ বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি পূর্ণ করলে পদোন্নতি পেয়ে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবেন।

আগে সহকারী শিক্ষকরা সারাজীবন একই পদে চাকরি করে অবসরে যেতেন, কিন্তু এখন তারা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পাবেন। সিনিয়র শিক্ষক হলে তারা ৯ম গ্রেডে (বেতন স্কেল ২২,০০০ – ৫৩,০৬০ টাকা) বেতন-ভাতা পাবেন। তবে এর জন্য নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক।

তবে এখানে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে যারা আছেন, তারা ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা ঠিকই পাবেন, কিন্তু তারা ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বা এই পদে পদোন্নতি পাবেন না।

প্রতিষ্ঠানের এমপিও টিকিয়ে রাখার শর্ত

শুধুমাত্র শিক্ষকদের ব্যক্তিগত যোগ্যতাই নয়, প্রতিষ্ঠানের এমপিও টিকিয়ে রাখতেও নতুন শর্ত দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির শর্তাবলি অংশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজগুলোকে পাবলিক পরীক্ষায় (এসএসসি/এইচএসসি) অবশ্যই কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

শুধু পরীক্ষার্থী থাকলেই হবে না, পরিশিষ্ট ‘গ’ মোতাবেক ন্যূনতম পাসের হারও অর্জন করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি পরপর কয়েক বছর এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল হতে পারে।

এমপিও নীতিমালা ২০২৫ দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। দ্বৈত চাকরি নিষিদ্ধ করার ফলে শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আরও মনোযোগী হবেন। অন্যদিকে ১০ বছরে পদোন্নতির সুযোগ শিক্ষকদের পেশাগত কাজে উৎসাহ জোগাবে। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. আমি ওকালতি করি, এখন কি আমার এমপিও বাতিল হবে? নীতিমালা অনুযায়ী, আপনি যদি এমপিওভুক্ত শিক্ষক হন এবং একই সাথে আইন পেশা থেকে আয় করেন, তবে এটি অবৈধ। আপনাকে যেকোনো একটি পেশা ছাড়তে হবে, অন্যথায় তদন্তে প্রমাণিত হলে এমপিও বাতিল হতে পারে।

২. সিনিয়র শিক্ষক হতে কি বিএড (B.Ed) লাগবে? নীতিমালায় বলা হয়েছে নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সাধারণত মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ম গ্রেড পেতে বিএড থাকা বাঞ্ছনীয়। বিস্তারিত শর্ত পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকে।

৩. লাইব্রেরিয়ানরা কি সিনিয়র শিক্ষক হতে পারবেন? না। সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের (৯ম গ্রেড) বেতন পাবেন, কিন্তু তাদের পদের নাম ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবে না।

৪. নতুন নীতিমালা কবে থেকে কার্যকর হবে? এই নীতিমালা জারির তারিখ থেকে, অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকেই এটি কার্যকর বলে গণ্য হবে।

৫. এমপিওভুক্ত হতে হলে প্রতিষ্ঠানে কতজন পাস করতে হবে? এটি প্রতিষ্ঠানের ধরণ (স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা) এবং অবস্থান (শহর/গ্রাম) এর ওপর নির্ভর করে। নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘গ’-তে বিস্তারিত হার উল্লেখ করা আছে।

আরও পড়ুন: এইচএসসি বৃত্তি ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ: ঢাকা বোর্ডের তালিকা ও টাকা তোলার নিয়ম